collected from
আমাদের ব্রেন পৃথিবীটাকে দেখে True/False এক্সাম হিসেবে।এই জন্য সাইকোলজিস্ট Daniel Gilbert বলেছেন কোন তথ্যকে প্রসেস করতে হলে আমাদের ব্রেনকে অবশ্যই সেই তথ্যটাকে প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে। ১ সেকেন্ডের অর্ধেক হলেও সে তথ্যটা ব্রেন বিশ্বাস করবে। যেমন ধরুন আমি আপনাদের 'গোলাপি' রংয়ের হাতিদের সম্পর্কে চিন্তা করতে বললাম।আপনারা সবাই জানেন যে 'গোলাপি হাতি' বলতে কিছু নেই। কিন্তু যখন আপনি 'গোলাপি রংয়ের হাতি' শব্দগুলো পড়লেন তখন অল্প সময়ের জন্য আপনার ব্রেনে গোলাপি রংয়ের হাতির একটা ছবির সৃষ্টি হয়েছিল।অর্থাৎ কোন বিষয়কে অস্তিত্বহীন প্রমাণ করার জন্য আপনার ব্রেনকে প্রথমে সেই বিষয়টার অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করতে হয়।
বেশীরভাগ নাস্তিকরা যখন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করে তখন তার ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টিকর্তার একটা ইমেজ তৈরী করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার ব্রেন 'Error' সাইন দেখায় ।কারণ সৃষ্টিকর্তার সঠিক ইমেজ মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা সম্ভব না। এই জন্য নাস্তিকরা প্রশ্ন করে ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' ।এমনকি একজন আস্তিকও যখন সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কে চিন্তা করে , আরশকে ধরে রাখা ফেরেশতাদের সম্পর্কে চিন্তা করে কিংবা জান্নাতের প্রাসাদ সম্পর্কে চিন্তা করে তখন তার ব্রেনে একধরনের ইমেজ তৈরী করে,কিন্তু যারা ভাল প্রাক্টিসিং মুসলিম তারা জানে যে এইসব কল্পনা করা সম্ভব না।
ব্রেনের ডাটা প্রসেসিং এর এই পদ্ধতি হল ধ্রুবক , সব মানুষের ব্রেনেই এই বৈশিষ্ট্য ছিল , থাকবে। এটাকে নিউরোলজিক্যাল কন্সট্যান্টও বলা যায়। আর তাই আমরা দেখি ব্রেনের দ্বারা ধোঁকা খেয়ে যুগে যুগে ভ্রান্তরা ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' এই প্রশ্নটা করেছে। বনী ঈসরাইলরাও এই প্রশ্নটা করেছিল। পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন--
" আর যখন তোমরা বলেছিলে , 'হে মুসা! আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনো বিশ্বাস করব না ।' তখন তোমরা বজ্রাহত হয়েছিলে এবং নিজেরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে।" [সূরা বাক্বারাহ, আয়াত-৫৫]
মূর্তিপূজারীদের
ভ্রান্ত হবার অন্যতম কারণও হল এটা।
এখন প্রশ্ন হল , তাহলে আমরা কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করছি? এর উত্তর হল যে, ব্রেন শুধু উপরিউক্ত সিস্টেমেই ডাটা এনালাইজ করে না। ডাটা যত জটিল হবে এনালাইসিসের পদ্ধতিও জটিল হবে। যেমন ধরুন আমি বললাম 'ধসূর 'রংয়ের হাতি আছে। তখন আপনার ব্রেন 'গোলাপি রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে যতটুকু সময় নিয়েছিল তার থেকে অল্প সময়ের মধ্যে 'ধসূর রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে পারবে কারণ আপনি ধসূর রংয়ের হাতি দেখেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি আর্কিমিডিসের গণিতের সমস্যা Problema Bovinum এর সমাধান করতে গেলে যে ফার্মার সমীরকরণ , V^2 - du^2 = 1 পাওয়া যায় সেখানে d=4102864232784 24
হবে , এটা কি সত্য নাকি মিথ্যা যাচাই করুন । তাহলে কিন্তু ব্রেনকে খুব
সময় নিতে হবে এবং খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে ডাটাটাকে প্রসেস করতে।
নাস্তিকদের সমস্যাই হল এটা যে এদের ব্রেন প্রথম পদ্ধতিতে ডাটা এনালাইজ করে ,অর্থাৎ এরা অলস মস্তিষ্কের অধিকারী। এরা অনেক তথ্য-প্রমাণকে ইগনোর করে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে চায় না ,সীরাহ্ পড়তে চায় না পড়লেও বিধর্মীদের লেখা সীরাহ্ পড়ে।
কিন্তু বিশ্বাসীরা ধৈর্য ধরে আল্লাহ্ তাআলার নিদর্শনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে। ক্বুরআন ও সীরাহ্ থেকে জ্ঞান অর্জন করে ঈমানকে মজবুত করে।
সবশেষে বলব , যারা এখনো সন্দেহে আছেন আল্লাহ্ তাআলার অস্তিত্বের বিষয়ে , কবরের আযাবের বিষয়ে , জান্নাত-জাহান্ন ামের
বিষয়ে, ফেরেশতাদের অস্তিত্বের বিষয়ে তারা জেনে রাখুন আপনারা আপনাদের
ব্রেনের চিন্তা করার অলস পদ্ধতির কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আপনাদের চিন্তা
করার পদ্ধতি পাল্টান না হলে হয়তো আপনি সারা জীবন আল্লাহ্ তাআলার নাফরমানী
করে কাটাবেন নাহলে মূর্খ নাস্তিকদের মত কাটাবেন।
Farhad Hossain Mithu
মানুষের ব্রেনকে বলা হয় মহাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জটিল বস্তু।ব্রেন আল্লাহ্ তাআলার এক অসাধারণ সৃষ্টি যার রহস্য এখনো মানুষ সমাধান করতে পারেনি। এই ব্রেন দিয়েই একদল মানুষ আল্লাহ্ তাআলার আনুগত্য করতে শিখে আরেকদল শিখে আল্লাহ্ তাআলার অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে এবং তাঁর নাফরমানী করতে।আমাদের ব্রেন পৃথিবীটাকে দেখে True/False এক্সাম হিসেবে।এই জন্য সাইকোলজিস্ট Daniel Gilbert বলেছেন কোন তথ্যকে প্রসেস করতে হলে আমাদের ব্রেনকে অবশ্যই সেই তথ্যটাকে প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে। ১ সেকেন্ডের অর্ধেক হলেও সে তথ্যটা ব্রেন বিশ্বাস করবে। যেমন ধরুন আমি আপনাদের 'গোলাপি' রংয়ের হাতিদের সম্পর্কে চিন্তা করতে বললাম।আপনারা সবাই জানেন যে 'গোলাপি হাতি' বলতে কিছু নেই। কিন্তু যখন আপনি 'গোলাপি রংয়ের হাতি' শব্দগুলো পড়লেন তখন অল্প সময়ের জন্য আপনার ব্রেনে গোলাপি রংয়ের হাতির একটা ছবির সৃষ্টি হয়েছিল।অর্থাৎ কোন বিষয়কে অস্তিত্বহীন প্রমাণ করার জন্য আপনার ব্রেনকে প্রথমে সেই বিষয়টার অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করতে হয়।
বেশীরভাগ নাস্তিকরা যখন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করে তখন তার ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টিকর্তার একটা ইমেজ তৈরী করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার ব্রেন 'Error' সাইন দেখায় ।কারণ সৃষ্টিকর্তার সঠিক ইমেজ মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা সম্ভব না। এই জন্য নাস্তিকরা প্রশ্ন করে ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' ।এমনকি একজন আস্তিকও যখন সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কে চিন্তা করে , আরশকে ধরে রাখা ফেরেশতাদের সম্পর্কে চিন্তা করে কিংবা জান্নাতের প্রাসাদ সম্পর্কে চিন্তা করে তখন তার ব্রেনে একধরনের ইমেজ তৈরী করে,কিন্তু যারা ভাল প্রাক্টিসিং মুসলিম তারা জানে যে এইসব কল্পনা করা সম্ভব না।
ব্রেনের ডাটা প্রসেসিং এর এই পদ্ধতি হল ধ্রুবক , সব মানুষের ব্রেনেই এই বৈশিষ্ট্য ছিল , থাকবে। এটাকে নিউরোলজিক্যাল কন্সট্যান্টও বলা যায়। আর তাই আমরা দেখি ব্রেনের দ্বারা ধোঁকা খেয়ে যুগে যুগে ভ্রান্তরা ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' এই প্রশ্নটা করেছে। বনী ঈসরাইলরাও এই প্রশ্নটা করেছিল। পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন--
" আর যখন তোমরা বলেছিলে , 'হে মুসা! আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনো বিশ্বাস করব না ।' তখন তোমরা বজ্রাহত হয়েছিলে এবং নিজেরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে।" [সূরা বাক্বারাহ, আয়াত-৫৫]
মূর্তিপূজারীদের
এখন প্রশ্ন হল , তাহলে আমরা কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করছি? এর উত্তর হল যে, ব্রেন শুধু উপরিউক্ত সিস্টেমেই ডাটা এনালাইজ করে না। ডাটা যত জটিল হবে এনালাইসিসের পদ্ধতিও জটিল হবে। যেমন ধরুন আমি বললাম 'ধসূর 'রংয়ের হাতি আছে। তখন আপনার ব্রেন 'গোলাপি রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে যতটুকু সময় নিয়েছিল তার থেকে অল্প সময়ের মধ্যে 'ধসূর রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে পারবে কারণ আপনি ধসূর রংয়ের হাতি দেখেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি আর্কিমিডিসের গণিতের সমস্যা Problema Bovinum এর সমাধান করতে গেলে যে ফার্মার সমীরকরণ , V^2 - du^2 = 1 পাওয়া যায় সেখানে d=4102864232784
নাস্তিকদের সমস্যাই হল এটা যে এদের ব্রেন প্রথম পদ্ধতিতে ডাটা এনালাইজ করে ,অর্থাৎ এরা অলস মস্তিষ্কের অধিকারী। এরা অনেক তথ্য-প্রমাণকে ইগনোর করে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে চায় না ,সীরাহ্ পড়তে চায় না পড়লেও বিধর্মীদের লেখা সীরাহ্ পড়ে।
কিন্তু বিশ্বাসীরা ধৈর্য ধরে আল্লাহ্ তাআলার নিদর্শনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে। ক্বুরআন ও সীরাহ্ থেকে জ্ঞান অর্জন করে ঈমানকে মজবুত করে।
সবশেষে বলব , যারা এখনো সন্দেহে আছেন আল্লাহ্ তাআলার অস্তিত্বের বিষয়ে , কবরের আযাবের বিষয়ে , জান্নাত-জাহান্ন
0 on: "নাস্তিকব্রেনের error: ঈশ্বর অদৃশ্য তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই [পার্ট ১]"