collected from Farhad Hossain Mithu
যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহ্ তা'আলার জন্য।সালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর উপর
এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর।
মানুষের মাঝে নানান প্রকার বিপরীতমুখী নীতি কাজ করে। মুসলিমদের মাঝেও বিপরীতমুখী মনোভাব কাজ করে।অথচ এটা নিয়ে আমরা ভাবি না।
এই বিপরীতমুখী নীতি যেভাবে কাজ করে সেটা হল----
১)আপনি দাবী করছেন যে,আপনি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে ভালবাসেন কিন্তু আপনি তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলেন না।
আল্লাহ্ তা'আলা যেসব থেকে দূরে থাকতে বলেছেন সেসব থেকে দূরে থাকেন না।
২)আপনি জান্নাতে যেতে চান অথচ জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করেন না।আপনি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে চান অথচ জাহান্নাম থেকে
দূরে থাকার চেষ্টা করেন না।
৩)আপনি দাবী করেন আপনি রসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে ভালবাসেন অথচ তার অনুসরণ করেন না।আপনি দাবী করছেন যে রসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে ছাড়া অন্য কাউকে অনুসরণ করছেন না অথচ আপনি অন্যদের অনুসরণ করছেন।
৪)আপনি ইসলামকে ভালবাসেন বলে দাবী করেন কিন্তু আপনি ইসলামবিরোধীদেরও ভালবাসেন!!!
৫)আপনি মানুষকে ভাল কাজ করার উপদেশ দেন অথচ নিজেই তা করেন না!
এমনি আরো বিপরীতমুখী কাজ আমরা করে যাচ্ছি।আসলে বলা যায় বিপরীতমুখী মনোভাবের সমূদ্রে আমরা ডুবে আছি।
আমাদের সমাজেও বিপরীতমুখী নীতি বর্তমান।যেমন-কারো বোন তার ভাইয়ের কাছে এসে অভিযোগ করল যে, "ভাইয়া,অমুক পাড়ার তমুক ছেলের দল আমাকে টিজ করেছে"।তার ভাই জিজ্ঞেস করল কি বলে টিজ করেছে?বোন বলল,"শিলা কি জাওয়ানি গান
গেয়ে টিজ করেছে,শুধু শিলা নামের জায়গায় আমার নাম বসিয়ে দিয়েছে।" তো সে ভাই টিজারদের ধমক দিয়ে আসল আসার পর
ঐ 'শিলা কি জাওয়ানি' এবং এই টাইপের গানের ভিডিও দেখতে থাকল![এটা বিপরীতমুখী মনোভাবের একটা উদাহরণ,বাস্তব ঘটনা নয়] এরকম বিপরীতমুখী নীতি আমাদের সমাজে স্পষ্ট।অবাক লাগে ,মেয়েরাও এই ধরনের গান শুনে। মেয়েদের টিজিং করা হোক এটা আপনি পছন্দ করেন না অথচ যেসব উপায় টিজাররা ব্যবহার করে সেসবকে পছন্দ করেন?এই সব অর্থহীন গান সমাজে নোংরামি ছাড়া আর কিচ্ছু ছড়ায় না।
বিপরীতমুখী থেকে একমুখী হওয়াঃ- [এখানে শুধু ৩য় বন্ধনীর ভেতর যে চিহ্ন আছে সেটাকে আমি বুঝাতে চাচ্ছি।এর বাইরে বন্ধনীহীন অতিরিক্ত কিছু চিহ্ন আসছে সেটার কোন অর্থ নেই।যেখানে # চিহ্ন দেখবেন সেটা বাতিল]
১)লব্ধি সর্বনিম্ন ২)লব্ধি সর্বোচ্চ
১) [ (লব্ধি সর্বনিম্ন) <::::::::::::::>] ২)[:::::::>:::::::::>:::::::: (লব্ধি সর্বোচ্চ)] ####:></::::::::::::::>
>আপনার নীতি ২নং এর মত হতে হবে।
এখানে বামদিক হল খারাপ আর ডানদিক ভাল।আমার মতে নাস্তিকরা কিছু ক্ষেত্রে একমুখী।তারা বাম দিকে একমুখী অর্থাৎ
খারাপের দিকে একমুখী।
দুটি ভেক্টর যখন পরস্পর বিপরীত দিকে কাজ করে তখন লব্ধি সর্বনিম্ন হয় আর যখন একই দিকে কাজ করে তখন লব্ধি সর্বোচ্চ হয়।তেমনি আপনি যদি বিপরীতমুখী নীতিতে
চলেন তাহলে আপনার জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিন্তু যদি একমুখী নীতিতে চলেন তাহলে আপনার জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
** তাওহীদ ও শিরক **
৩) [(শিরক)<::::::::::::::::::::::::> (তাওহীদ)] ###:::::::::::::::::::::></::::::::::::::::::::::::>
>এই রকম নীতি থাকলে আপনার সমস্ত আমল আল্লাহ্ তা'আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য হবে।আল্লাহ্ পাক বলেন--
"আর তারা যে কাজ করেছে আমি সেদিকে অগ্রসর হব,অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব" [সূরা আল-ফুরকান-২৩]
দুঃখের বিষয় অনেক মুসলিম আজ না বুঝে ,না জেনে কবরপূজা করছেন,পীরপূজা করছেন।
৪)[::::::::>::::::::>::::::::>] তাওহীদ
আমাদের জীবনে এই নীতি থাকতে হবে যেটা হবে শিরকমুক্ত।আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাওহীদ।
আমাদের কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে।আপনি মহান আল্লাহ্ তা'আলাকে,তাঁর রসূল (সঃ)-কে ভালবাসার দাবী করছেন তাহলে মিলিয়ে দেখুন আপনার কথা আর কাজে মিল আছে কিনা?
আপনি কালেমা তাইয়্যেবা উচ্চারণ করছেন ভেবে দেখুন আপনি এই কালেমার দাবী পূরণ করছেন কিনা।যেটা আমারও ভাবনার বিষয়।
And Allah Knows the best.
মহান আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সকল প্রকার অন্তরের ব্যাধি থেকে হিফাজত করুন।আমীন।

এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর।
মানুষের মাঝে নানান প্রকার বিপরীতমুখী নীতি কাজ করে। মুসলিমদের মাঝেও বিপরীতমুখী মনোভাব কাজ করে।অথচ এটা নিয়ে আমরা ভাবি না।
এই বিপরীতমুখী নীতি যেভাবে কাজ করে সেটা হল----
১)আপনি দাবী করছেন যে,আপনি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে ভালবাসেন কিন্তু আপনি তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলেন না।
আল্লাহ্ তা'আলা যেসব থেকে দূরে থাকতে বলেছেন সেসব থেকে দূরে থাকেন না।
২)আপনি জান্নাতে যেতে চান অথচ জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করেন না।আপনি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে চান অথচ জাহান্নাম থেকে
দূরে থাকার চেষ্টা করেন না।
৩)আপনি দাবী করেন আপনি রসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে ভালবাসেন অথচ তার অনুসরণ করেন না।আপনি দাবী করছেন যে রসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে ছাড়া অন্য কাউকে অনুসরণ করছেন না অথচ আপনি অন্যদের অনুসরণ করছেন।
৪)আপনি ইসলামকে ভালবাসেন বলে দাবী করেন কিন্তু আপনি ইসলামবিরোধীদেরও ভালবাসেন!!!
৫)আপনি মানুষকে ভাল কাজ করার উপদেশ দেন অথচ নিজেই তা করেন না!
এমনি আরো বিপরীতমুখী কাজ আমরা করে যাচ্ছি।আসলে বলা যায় বিপরীতমুখী মনোভাবের সমূদ্রে আমরা ডুবে আছি।
আমাদের সমাজেও বিপরীতমুখী নীতি বর্তমান।যেমন-কারো বোন তার ভাইয়ের কাছে এসে অভিযোগ করল যে, "ভাইয়া,অমুক পাড়ার তমুক ছেলের দল আমাকে টিজ করেছে"।তার ভাই জিজ্ঞেস করল কি বলে টিজ করেছে?বোন বলল,"শিলা কি জাওয়ানি গান
গেয়ে টিজ করেছে,শুধু শিলা নামের জায়গায় আমার নাম বসিয়ে দিয়েছে।" তো সে ভাই টিজারদের ধমক দিয়ে আসল আসার পর
ঐ 'শিলা কি জাওয়ানি' এবং এই টাইপের গানের ভিডিও দেখতে থাকল![এটা বিপরীতমুখী মনোভাবের একটা উদাহরণ,বাস্তব ঘটনা নয়] এরকম বিপরীতমুখী নীতি আমাদের সমাজে স্পষ্ট।অবাক লাগে ,মেয়েরাও এই ধরনের গান শুনে। মেয়েদের টিজিং করা হোক এটা আপনি পছন্দ করেন না অথচ যেসব উপায় টিজাররা ব্যবহার করে সেসবকে পছন্দ করেন?এই সব অর্থহীন গান সমাজে নোংরামি ছাড়া আর কিচ্ছু ছড়ায় না।
বিপরীতমুখী থেকে একমুখী হওয়াঃ- [এখানে শুধু ৩য় বন্ধনীর ভেতর যে চিহ্ন আছে সেটাকে আমি বুঝাতে চাচ্ছি।এর বাইরে বন্ধনীহীন অতিরিক্ত কিছু চিহ্ন আসছে সেটার কোন অর্থ নেই।যেখানে # চিহ্ন দেখবেন সেটা বাতিল]
১)লব্ধি সর্বনিম্ন ২)লব্ধি সর্বোচ্চ
১) [ (লব্ধি সর্বনিম্ন) <::::::::::::::>] ২)[:::::::>:::::::::>:::::::: (লব্ধি সর্বোচ্চ)] ####:></::::::::::::::>
>আপনার নীতি ২নং এর মত হতে হবে।
এখানে বামদিক হল খারাপ আর ডানদিক ভাল।আমার মতে নাস্তিকরা কিছু ক্ষেত্রে একমুখী।তারা বাম দিকে একমুখী অর্থাৎ
খারাপের দিকে একমুখী।
দুটি ভেক্টর যখন পরস্পর বিপরীত দিকে কাজ করে তখন লব্ধি সর্বনিম্ন হয় আর যখন একই দিকে কাজ করে তখন লব্ধি সর্বোচ্চ হয়।তেমনি আপনি যদি বিপরীতমুখী নীতিতে
চলেন তাহলে আপনার জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিন্তু যদি একমুখী নীতিতে চলেন তাহলে আপনার জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
** তাওহীদ ও শিরক **
৩) [(শিরক)<::::::::::::::::::::::::> (তাওহীদ)] ###:::::::::::::::::::::></::::::::::::::::::::::::>
>এই রকম নীতি থাকলে আপনার সমস্ত আমল আল্লাহ্ তা'আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য হবে।আল্লাহ্ পাক বলেন--
"আর তারা যে কাজ করেছে আমি সেদিকে অগ্রসর হব,অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব" [সূরা আল-ফুরকান-২৩]
দুঃখের বিষয় অনেক মুসলিম আজ না বুঝে ,না জেনে কবরপূজা করছেন,পীরপূজা করছেন।
৪)[::::::::>::::::::>::::::::>] তাওহীদ
আমাদের জীবনে এই নীতি থাকতে হবে যেটা হবে শিরকমুক্ত।আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাওহীদ।
আমাদের কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে।আপনি মহান আল্লাহ্ তা'আলাকে,তাঁর রসূল (সঃ)-কে ভালবাসার দাবী করছেন তাহলে মিলিয়ে দেখুন আপনার কথা আর কাজে মিল আছে কিনা?
আপনি কালেমা তাইয়্যেবা উচ্চারণ করছেন ভেবে দেখুন আপনি এই কালেমার দাবী পূরণ করছেন কিনা।যেটা আমারও ভাবনার বিষয়।
And Allah Knows the best.
মহান আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সকল প্রকার অন্তরের ব্যাধি থেকে হিফাজত করুন।আমীন।

0 on: "বিপরীতমুখী নীতি"