Monday, March 31, 2014

বিপরীতমুখী নীতি

- No comments
 collected from Farhad Hossain Mithu
যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহ্‌ তা'আলার জন্য।সালাত এবং সালাম বর্ষিত হোক শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর উপর
এবং সমস্ত সাহাবীদের উপর।

মানুষের মাঝে নানান প্রকার বিপরীতমুখী নীতি কাজ করে। মুসলিমদের মাঝেও বিপরীতমুখী মনোভাব কাজ করে।অথচ এটা নিয়ে আমরা ভাবি না।
এই বিপরীতমুখী নীতি যেভাবে কাজ করে সেটা হল----
১)আপনি দাবী করছেন যে,আপনি আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাকে ভালবাসেন কিন্তু আপনি তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলেন না।
আল্লাহ্‌ তা'আলা যেসব থেকে দূরে থাকতে বলেছেন সেসব থেকে দূরে থাকেন না।
২)আপনি জান্নাতে যেতে চান অথচ জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করেন না।আপনি জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে চান অথচ জাহান্নাম থেকে
দূরে থাকার চেষ্টা করেন না।
৩)আপনি দাবী করেন আপনি রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ)-কে ভালবাসেন অথচ তার অনুসরণ করেন না।আপনি দাবী করছেন যে রসূলুল্লাহ্‌ (সঃ)-কে ছাড়া অন্য কাউকে অনুসরণ করছেন না অথচ আপনি অন্যদের অনুসরণ করছেন।
৪)আপনি ইসলামকে ভালবাসেন বলে দাবী করেন কিন্তু আপনি ইসলামবিরোধীদেরও ভালবাসেন!!!
৫)আপনি মানুষকে ভাল কাজ করার উপদেশ দেন অথচ নিজেই তা করেন না!
এমনি আরো বিপরীতমুখী কাজ আমরা করে যাচ্ছি।আসলে বলা যায় বিপরীতমুখী মনোভাবের সমূদ্রে আমরা ডুবে আছি।
আমাদের সমাজেও বিপরীতমুখী নীতি বর্তমান।যেমন-কারো বোন তার ভাইয়ের কাছে এসে অভিযোগ করল যে, "ভাইয়া,অমুক পাড়ার তমুক ছেলের দল আমাকে টিজ করেছে"।তার ভাই জিজ্ঞেস করল কি বলে টিজ করেছে?বোন বলল,"শিলা কি জাওয়ানি গান
গেয়ে টিজ করেছে,শুধু শিলা নামের জায়গায় আমার নাম বসিয়ে দিয়েছে।" তো সে ভাই টিজারদের ধমক দিয়ে আসল আসার পর
ঐ 'শিলা কি জাওয়ানি' এবং এই টাইপের গানের ভিডিও দেখতে থাকল![এটা বিপরীতমুখী মনোভাবের একটা উদাহরণ,বাস্তব ঘটনা নয়] এরকম বিপরীতমুখী নীতি আমাদের সমাজে স্পষ্ট।অবাক লাগে ,মেয়েরাও এই ধরনের গান শুনে। মেয়েদের টিজিং করা হোক এটা আপনি পছন্দ করেন না অথচ যেসব উপায় টিজাররা ব্যবহার করে সেসবকে পছন্দ করেন?এই সব অর্থহীন গান সমাজে নোংরামি ছাড়া আর কিচ্ছু ছড়ায় না।
বিপরীতমুখী থেকে একমুখী হওয়াঃ- [এখানে শুধু ৩য় বন্ধনীর ভেতর যে চিহ্ন আছে সেটাকে আমি বুঝাতে চাচ্ছি।এর বাইরে বন্ধনীহীন অতিরিক্ত কিছু চিহ্ন আসছে সেটার কোন অর্থ নেই।যেখানে # চিহ্ন দেখবেন সেটা বাতিল]
১)লব্ধি সর্বনিম্ন ২)লব্ধি সর্বোচ্চ
১) [ (লব্ধি সর্বনিম্ন) <::::::::::::::>] ২)[:::::::>:::::::::>:::::::: (লব্ধি সর্বোচ্চ)] ####:></::::::::::::::>
>আপনার নীতি ২নং এর মত হতে হবে।
এখানে বামদিক হল খারাপ আর ডানদিক ভাল।আমার মতে নাস্তিকরা কিছু ক্ষেত্রে একমুখী।তারা বাম দিকে একমুখী অর্থাৎ
খারাপের দিকে একমুখী।
দুটি ভেক্টর যখন পরস্পর বিপরীত দিকে কাজ করে তখন লব্ধি সর্বনিম্ন হয় আর যখন একই দিকে কাজ করে তখন লব্ধি সর্বোচ্চ হয়।তেমনি আপনি যদি বিপরীতমুখী নীতিতে
চলেন তাহলে আপনার জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিন্তু যদি একমুখী নীতিতে চলেন তাহলে আপনার জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

** তাওহীদ ও শিরক **
৩) [(শিরক)<::::::::::::::::::::::::> (তাওহীদ)] ###:::::::::::::::::::::></::::::::::::::::::::::::>
>এই রকম নীতি থাকলে আপনার সমস্ত আমল আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য হবে।আল্লাহ্‌ পাক বলেন--
"আর তারা যে কাজ করেছে আমি সেদিকে অগ্রসর হব,অতঃপর তাকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দেব" [সূরা আল-ফুরকান-২৩]
দুঃখের বিষয় অনেক মুসলিম আজ না বুঝে ,না জেনে কবরপূজা করছেন,পীরপূজা করছেন।

৪)[::::::::>::::::::>::::::::>] তাওহীদ
আমাদের জীবনে এই নীতি থাকতে হবে যেটা হবে শিরকমুক্ত।আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাওহীদ।

আমাদের কথায় ও কাজে মিল থাকতে হবে।আপনি মহান আল্লাহ্‌ তা'আলাকে,তাঁর রসূল (সঃ)-কে ভালবাসার দাবী করছেন তাহলে মিলিয়ে দেখুন আপনার কথা আর কাজে মিল আছে কিনা?
আপনি কালেমা তাইয়্যেবা উচ্চারণ করছেন ভেবে দেখুন আপনি এই কালেমার দাবী পূরণ করছেন কিনা।যেটা আমারও ভাবনার বিষয়।
And Allah Knows the best.
মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের সকল প্রকার অন্তরের ব্যাধি থেকে হিফাজত করুন।আমীন।

Friday, March 14, 2014

নাস্তিকব্রেনের error: ঈশ্বর অদৃশ্য তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই [পার্ট ১]

- No comments
 collected from
Farhad Hossain Mithu
মানুষের ব্রেনকে বলা হয় মহাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জটিল বস্তু।ব্রেন আল্লাহ্‌ তাআলার এক অসাধারণ সৃষ্টি যার রহস্য এখনো মানুষ সমাধান করতে পারেনি। এই ব্রেন দিয়েই একদল মানুষ আল্লাহ্‌ তাআলার আনুগত্য করতে শিখে আরেকদল শিখে আল্লাহ্‌ তাআলার অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে এবং তাঁর নাফরমানী করতে।

আমাদের ব্রেন পৃথিবীটাকে দেখে True/False এক্সাম হিসেবে।এই জন্য সাইকোলজিস্ট Daniel Gilbert বলেছেন কোন তথ্যকে প্রসেস করতে হলে আমাদের ব্রেনকে অবশ্যই সেই তথ্যটাকে প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে। ১ সেকেন্ডের অর্ধেক হলেও সে তথ্যটা ব্রেন বিশ্বাস করবে। যেমন ধরুন আমি আপনাদের 'গোলাপি' রংয়ের হাতিদের সম্পর্কে চিন্তা করতে বললাম।আপনারা সবাই জানেন যে 'গোলাপি হাতি' বলতে কিছু নেই। কিন্তু যখন আপনি 'গোলাপি রংয়ের হাতি' শব্দগুলো পড়লেন তখন অল্প সময়ের জন্য আপনার ব্রেনে গোলাপি রংয়ের হাতির একটা ছবির সৃষ্টি হয়েছিল।অর্থাৎ কোন বিষয়কে অস্তিত্বহীন প্রমাণ করার জন্য আপনার ব্রেনকে প্রথমে সেই বিষয়টার অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করতে হয়।

বেশীরভাগ নাস্তিকরা যখন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তা করে তখন তার ব্রেন স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টিকর্তার একটা ইমেজ তৈরী করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার ব্রেন 'Error' সাইন দেখায় ।কারণ সৃষ্টিকর্তার সঠিক ইমেজ মানুষের দ্বারা সৃষ্টি করা সম্ভব না। এই জন্য নাস্তিকরা প্রশ্ন করে ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' ।এমনকি একজন আস্তিকও যখন সৃষ্টিকর্তার সম্পর্কে চিন্তা করে , আরশকে ধরে রাখা ফেরেশতাদের সম্পর্কে চিন্তা করে কিংবা জান্নাতের প্রাসাদ সম্পর্কে চিন্তা করে তখন তার ব্রেনে একধরনের ইমেজ তৈরী করে,কিন্তু যারা ভাল প্রাক্টিসিং মুসলিম তারা জানে যে এইসব কল্পনা করা সম্ভব না।

ব্রেনের ডাটা প্রসেসিং এর এই পদ্ধতি হল ধ্রুবক , সব মানুষের ব্রেনেই এই বৈশিষ্ট্য ছিল , থাকবে। এটাকে নিউরোলজিক্যাল কন্সট্যান্টও বলা যায়। আর তাই আমরা দেখি ব্রেনের দ্বারা ধোঁকা খেয়ে যুগে যুগে ভ্রান্তরা ' আমরা সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখি না?' এই প্রশ্নটা করেছে। বনী ঈসরাইলরাও এই প্রশ্নটা করেছিল। পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেছেন--

" আর যখন তোমরা বলেছিলে , 'হে মুসা! আমরা আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনো বিশ্বাস করব না ।' তখন তোমরা বজ্রাহত হয়েছিলে এবং নিজেরা তা প্রত্যক্ষ করেছিলে।" [সূরা বাক্বারাহ, আয়াত-৫৫]

মূর্তিপূজারীদের
ভ্রান্ত হবার অন্যতম কারণও হল এটা।

এখন প্রশ্ন হল , তাহলে আমরা কিভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করছি? এর উত্তর হল যে, ব্রেন শুধু উপরিউক্ত সিস্টেমেই ডাটা এনালাইজ করে না। ডাটা যত জটিল হবে এনালাইসিসের পদ্ধতিও জটিল হবে। যেমন ধরুন আমি বললাম 'ধসূর 'রংয়ের হাতি আছে। তখন আপনার ব্রেন 'গোলাপি রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে যতটুকু সময় নিয়েছিল তার থেকে অল্প সময়ের মধ্যে 'ধসূর রংয়ের হাতি' ডাটাকে এনালাইজ করতে পারবে কারণ আপনি ধসূর রংয়ের হাতি দেখেছেন। কিন্তু আমি যদি বলি আর্কিমিডিসের গণিতের সমস্যা Problema Bovinum এর সমাধান করতে গেলে যে ফার্মার সমীরকরণ , V^2 - du^2 = 1 পাওয়া যায় সেখানে d=410286423278424 হবে , এটা কি সত্য নাকি মিথ্যা যাচাই করুন । তাহলে কিন্তু ব্রেনকে খুব সময় নিতে হবে এবং খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে ডাটাটাকে প্রসেস করতে।

নাস্তিকদের সমস্যাই হল এটা যে এদের ব্রেন প্রথম পদ্ধতিতে ডাটা এনালাইজ করে ,অর্থাৎ এরা অলস মস্তিষ্কের অধিকারী। এরা অনেক তথ্য-প্রমাণকে ইগনোর করে, ইসলাম সম্পর্কে জানতে চায় না ,সীরাহ্‌ পড়তে চায় না পড়লেও বিধর্মীদের লেখা সীরাহ্‌ পড়ে।

কিন্তু বিশ্বাসীরা ধৈর্য ধরে আল্লাহ্‌ তাআলার নিদর্শনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে। ক্বুরআন ও সীরাহ্‌ থেকে জ্ঞান অর্জন করে ঈমানকে মজবুত করে।

সবশেষে বলব , যারা এখনো সন্দেহে আছেন আল্লাহ্‌ তাআলার অস্তিত্বের বিষয়ে , কবরের আযাবের বিষয়ে , জান্নাত-জাহান্নামের বিষয়ে, ফেরেশতাদের অস্তিত্বের বিষয়ে তারা জেনে রাখুন আপনারা আপনাদের ব্রেনের চিন্তা করার অলস পদ্ধতির কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আপনাদের চিন্তা করার পদ্ধতি পাল্টান না হলে হয়তো আপনি সারা জীবন আল্লাহ্‌ তাআলার নাফরমানী করে কাটাবেন নাহলে মূর্খ নাস্তিকদের মত কাটাবেন।